নিজস্ব প্রতিবেদক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামেল হোসেনের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর বুধবার (০৭ আগস্ট) জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে এসে তাকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের নানাবিধ হুমকি ধামকি সহ ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
মোঃ কামেল হোসেন পড়ালেখার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ৩নং ভাটেরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। নিজের রাজনৈতিক কার্যক্রমের দ্বারা সর্ব মহলে আলোচনার পাত্র হলেও বিরোধী দল জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে শত্রুতা ছিল পূর্ব থেকেই। এক সময় তিনি কর্মের উদ্দেশ্যে কাতার রাষ্ট্রে চলে গেলেও সেখান থেকে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলতি বছরের ১৮ জুলাই যুক্তরাজ্যে চলে যান। ২০২৪ সালের জুলাইতে শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের বিরুদ্ধে নিজের ফেইসবুক টাইমলাইনে বিভিন্ন লেখালেখি করেন। যার কারণে তার পরিবার স্থানীয় জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের আক্রোশের শিকার হন। দেশের বাহিরে থাকা সত্বেও পূর্বের শত্রæতার জের ধরে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সরকার পতনের পর অসংখ্য আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর করে।
স্থানীয়দের নিকট থেকে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ কামেল হোসেন বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। এছাড়াও এলাকার হত দরিদ্র ও অসহায় মানুষের সাহায্যে তিনি সর্বদা সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক জীবন থেকেই বিএনপি-জামায়াতের বিরোধীতা করায় তিনি তাদের শত্রুতে পরিণত হন। সেই সাথে ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি ফেইসবুকে আন্দোলন ও জামায়াত-বিএনপির বিরোদ্ধে বিভিন্ন লেখালেখি করায় তারা তার বাড়িতে এসে হামলার ঘটনা ঘটায় এবং বাড়ির মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী মোঃ কামেল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানষিক ভাবে হয়রানী করছে, এমনকি ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র ভাংচুর করতেও দ্বিধা বোধ করেনি।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আপসার বলেন, সরকার পতনের পর বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে যা আমি ইতিপূর্বে অবগত আছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।