নিজস্ব প্রতিবেদক::
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাফিজ আহমেদের বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হাফিজ আহমদের বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার পর থানায় অভিযোগ জানালেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন।
জানা যায়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে হাফিজ আহমদের বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তারা গোপনসূত্রের মাধ্যামে জানতে পারে হাফিজ আহমদ এবং উনার স্ত্রী বাসায় এসেছেন। বাসায় এসে হাফিজ আহমদ কে না পেয়ে হাফিজ আহমদ এর স্ত্রীর কাছে হাফিজ আহমদ এর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়। এসময় হাফিজ আহমদ এর সন্তানদের তুলে নিয়ে যাবে বলে ভয় প্রদর্শন করে। পরে হাফিজ আহমদ এর স্ত্রী এর ক্ষতি করতে চাইলে বাসায় চিৎকার কান্না কাটি শুরু হয়। সন্ত্রাসীরা তখন রাগ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ঘরের মধ্যে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে, সে সময় স্থানীয়দের বাঁধার মুখে পিছু হটে সন্ত্রাসীরা।
হাফিজ আহমদ এর পরিবার মৌলভীবাজার সমাচারকে জানান, হামলাকারীরা যখন বাড়িতে আসে তখন তারা বলে, আমরা জানতে পেরেছি হাফিজ আহমদ বাসায় এসেছেন এবং এখনো বিভিন্ন ভাবে আমাদের বিরোধীতা করছেন। আমাদের সরকার এর পতন ঘটাতে গিয়ে অর্থনৈতিক ভাবে ছাত্রদের সহযোগীতা করেছে। সেই সময় জোর করে আমার নাতিদের কোলে নিতে চাইলে আমি, আমার স্ত্রী আর পুত্রবধূ বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা আমাকে কিলঘুষি দিয়ে চড় মারে। আমাকে আর আমার স্ত্রী কে একটি রুমে আটকে রাখতে চায়। এবং আমার পুত্রবধূকে অন্য রুমে নিয়ে যেতে চায় এমন অবস্থায় কান্না-কাটি আর চিৎকার শুরু হলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তখন সন্ত্রাসীরা চলে যায়। যাবার সময় আমার পুত্রবধূকে উঠিয়ে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। আমি প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় থানায় তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানাই এবং অভিযোগ করলে পুলিশ প্রশাসন বিনিময়ে কিছু টাকা দাবি করে, টাকা দিতে পারিনি বলে অভিযোগে কোনো সহযোগিতা করেনি। এই মুহূর্তে আমাদের পরিবার সংকটাপন্ন অবস্থায় দিনযাপন করছি। আমরা এই সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়িতে নিরাপদে বসবাস করতে পারছি না। এর পূর্বেও আমাদের পুত্রবধূকে সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে যায়, আমার ছেলেকে খোঁজে না পেলে তারা আমার পুত্রবধু ও নাতিদের ক্ষতি করবে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে অনেকদিন ধরে আমার পুত্রবধু ও নাতিরা তার পিত্রালয়ে অবস্থান করেছে।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে মৌখিক একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
