রাজনগর প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বাগেশ্বর গ্রামে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন মিয়ার বাড়িতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাংচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (০৭ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
আলামিন মিয়া ২০১২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি সর্বশেষ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। আলামিন মিয়া রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের বাগেশ^র গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত ০৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে আওয়ামী নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে। বুধবার বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন মিয়ার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এসময় আলামিন মিয়াকে না পেয়ে ইটের তৈরি বাড়ির দেওয়াল ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। এসময় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা আলামিন মিয়াকে পেলে হত্যার হুমকি দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ করেন এলাকার লোকজন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার কয়েকজন জানান, সকালে হঠাৎ করে বিএনপি-জামায়াতের কয়েকশত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিয়ে আলামিন মিয়ার বাড়ির দিকে যায়। এসময় তারা আলামিন মিয়ার নাম ধরে বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দেয়। একপর্যায়ে তারা বাড়িতে গিয়ে দেওয়াল ভাংচুর শুরু করে। পরে তারা বাড়ির বিভিন্ন ধরণের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। আমরা এলাকার লোকজন ভয়ে সেদিকে যাইনি।
তারা জানান, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন এসে বলে আলামিন মিয়া কোথায়। আমরা বলি সে তো বাড়িতে নেই। সে দেশের বাইরে থাকে। পরে বলে তাকে পেলে হত্যা করবো। সে আমাদের বিরুদ্ধে বিগত সময়ে বিভিন্ন ধরণের অত্যাচার চালিয়েছে।
তারা আরও বলেন, আলামিন মিয়া ছাত্রলীগ করতো এটা ঠিক। কিন্তু সে কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল না। আর গত ১ বছর ধরে সে দেশের বাইরে আছে। সে কোন অপরাধ করেনি। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালানো হয়েছে।
পাঁচগাঁও এলাকার বাসিন্দা এমদাদ হোসেন জানান, ছাত্রলীগ নেতা আলামিন মিয়ার বাড়িতে সকালে দলবল নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে। সে দেশে থাকতে গরীব দু:খী মানুষের জন্য কাজ করেছে। এবং সমাজ সেবায় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এরপর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে তার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ৫ আগস্টের পরে থানায় লোকজন না থাকায় কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি।